সফল বাংলাদেশ

সফল বাংলাদেশ: সব সফলতার খবর আলোচনা হোক গর্বের সাথে

অপুষ্টি: জাতিসংঘের লড়াইয়ে নেতৃত্বে হাসিনা

 

NewImage

অপুষ্টি: জাতিসংঘের লড়াইয়ে নেতৃত্বে হাসিনা

Thu, Apr 19th, 2012 11:31 pm BdST

 

ঢাকা, এপ্রিল ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিশ্বব্যাপী মাতৃ ও শিশু অপুষ্টিবিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মনোনীত করেছে জাতিসংঘ।

স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (এসইউএন) মুভমেন্ট কর্মসূচির জন্য কাজ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ কর্মসূচিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে ২৬ বিশ্ব নেতাকে নিয়ে একটি লিড গ্র“প করেছে জাতিসংঘ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়, শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নয়নে শেখ হাসিনার ধারাবাহিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ গ্র“পের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান হিসেবে ফজলে হাসান আবেদকেও এই গ্র“পে রাখা হয়েছে।

এসইউএন মুভমেন্টের আওতায় বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও অপুষ্টিবিরোধী লড়াইয়ে থাকা শতাধিক সংগঠন ও সরকার এক জায়গায় এসেছে।

বর্তমানে বিশ্বের একশ’ কোটির বেশি মানুষ ক্ষুধা ও অপুষ্টির সঙ্গে লড়ছে।

বিশ্বব্যাপী প্রান্তিক ও সবচেয়ে অসহায় শিশুদের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে অন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে কাজ করবেন শেখ হাসিনা ও ২৬ বিশ্ব নেতা।

শেখ হাসিনার সঙ্গে লিড গ্র“পে অন্য বিশ্ব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট আর্মান্ডো এম-লিও গুয়েবুজা, তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট জাকাইয়া ম্রিশো কিকওয়েটে, নামিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাহাস আঙ্গুলা ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী বাবু রাম ভট্টরাই প্রমুখ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/এএইচ/পিডি/২৩২৮ ঘ.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

UN names Hasina for leading actions against malnutrition

NewImage
UN names Hasina for leading actions against malnutrition

The United Nations (UN) has nominated Prime Minister Sheikh Hasina, along with 26 global leaders, in a lead group to scale up child and maternal nutrition globally.

Sheikh Hasina will work for the global Scaling Up Nutrition (SUN) Movement programme that would fight against child and maternal malnutrition, according to message received in Dhaka on Thursday night.

The recognition came to Bangladesh Prime Minister because of her continued commitment to advancing child and maternal health by improving their nutritional status at home and abroad, the release added. —BSS

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

ত্রাণ বাড়িয়ে দিয়েছে শিশুদের আয়ুষ্কাল

বিবিসি  |  বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১২, ৫ বৈশাখ ১৪১৯

Details

১৯৯০ সালের চেয়ে বর্তমানে ৪০ লাখেরও বেশি শিশু পাঁচ বছরের বেশি বেঁচে যাচ্ছে। সম্প্রতি সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইউনিসেফের একটি নতুন প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।

ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের করা এ গবেষণাতে দেখানো হয়েছে যে, শিশুদের অবস্থার উন্নয়নে ত্রাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে কাজ করছে। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সুশাসন শিশুদের আয়ষ্কাল বাড়াতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ, ব্রাজিল এবং ভিয়েতনাম শিশুদের উন্নয়নে ভালো অগ্রগতি দেখিয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল পর্যন্ত গত এক দশকে সাহায্য পাবার ফলে সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নতি ঘটেছে। যার ফলে ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সালের ভেতর অপুষ্টির মাত্রা এক-চতুর্থাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।

১৩১টি দেশে ১৯৬৩ সালের চেয়ে ৯০-তে এসে ডিপথেরিয়া, ধুনষ্টঙ্কার এবং হামের প্রতিষেধক নব্বই শতাংশেরও বেশি ব্যবহূত হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক সাহায্য, সরকারের দৃঢ়তা ও নেতৃত্ব, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সমাজের প্রান্তিকগোষ্ঠীর উন্নয়নে কার্যকর পরিকল্পনা, প্রযুক্তি এবং আবিষ্কার— গত দুই দশকে এ ছয়টি বিষয় শিশুদের জীবনমান বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সেফ দ্য চিলড্রেনের মতে, ত্রাণই একমাত্র সহায়ক হিসাবে কাজ করে এমনটা বলা যাবে না। তবে সুশাসন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি এটা প্রয়োগ করলে ফলাফল ভালো হয়।

সেফ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী জাস্টিন ফরসিথ বলেন, ‘যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা বা শিশুস্বাস্থ্য তহবিলের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে ত্রাণ একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

মা-শিশু মৃত্যুহার কমাতে সফল বাংলাদেশ: বান কি-মুন

মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ সাফল্য লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন। মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মোবারকপুরে কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে জাতিসংঘ মহাসচিব ও তার স্ত্রী ইউ বান সুন কুলাউড়া পৌছান হেলিকপ্টারে করে। সেখান থেকে তারা মোবারকপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌছালে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের স্বাগত জানান।

প্রথমে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচ-এর যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত মোবারকপুর কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর বান কি-মুন মৌলভীবাজারে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে উঠান বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে গর্ভবতী নারী, হতদরিদ্র মা ও কিশোরীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

এছাড়া তিনি সেখানে মেটারনিটি নিওনেটাল হেলথ ইনিশিয়েটিভ (এমএনএইচআই) প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
বানের সফরে স্থানীয় মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। সারা এলাকা রঙিন ফেস্টুন, পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মহাসচিবের সফরসূচিকে সফল ও সর্বোচ্চো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, রেব ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) কাজ করছে।
উল্লেখ্য, তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে গত রোববার ঢাকা পৌছান জাতিসংঘ মহাসচিব। বাংলাদেশে এটা তার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০০৮ সালের নভেম্বরে দুই দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।

সুত্র

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

বিশ্বের সাতটি সফল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি

বাংলাদেশ নিয়ে অনেক খারাপ সংবাদের ভিড়ে এবার একটা ভাল খবর দিল ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’৷ শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বাংলাদেশ বেশ সাফল্য দেখিয়েছে৷

‘এ ফেয়ার চান্স অ্যাট লাইফ’ – এটা হলো শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’এর প্রতিবেদনের শিরোনাম৷ সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মাত্র সাতটি দেশের মধ্যে একটি, যারা শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সক্ষম হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ধনী-গরীব নির্বিশেষে এই হার ছিল সমান৷
ঐ রিপোর্ট বলছে, এমন অনেক দেশ আছে যারা কেবল ধনীদের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে পেরেছে৷ কিন্তু বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম৷ সেখানে সব শ্রেণিরই শিশু মৃত্যুর হার কমেছে৷ ১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এই হার ছিল শতকরা ৫.৩ শতাংশ৷
কীভাবে সম্ভব হলো এটা! এ ব্যাপারে বার্তা সংস্থা এএফপি জানতে চেয়েছিল সেভ দ্য চিলড্রেনের কমিউনিকেশন

ম্যানেজার আনিকা রব্বানির কাছে৷ তিনি বললেন, টিকাদান কর্মসূচি, ডায়রিয়ার সঠিক চিকিৎসা ও পরিবার পরিকল্পনা – মূলত এই তিন কারণেই সম্ভব হয়েছে এটা৷ তার সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়টিকে৷
রব্বানি বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সঠিক পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ৷ এমডিজিতে ২০১৫ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে৷ বাংলাদেশ সে লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে বলেই ধারণা রব্বানির৷ যেটা হয়তো ভারতের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে, বলেছেন তিনি৷

শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সফলতা ছাড়াও মেয়ে শিশুদের বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও সফল বাংলাদেশ – বলছে ঐ রিপোর্ট৷ এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির কথা বললেন রব্বানি৷ কারণ এর ফলে নারীরা আগের চেয়ে স্বাবলম্বী হতে পারছে৷ তারা লেখাপড়া শিখছে৷ চাকরি করছে৷ তাই মেয়েরাও যে কিছু করতে পারে সেটা এখন সবাই বুঝতে পারছে৷ ফলে মেয়ে শিশুদের গুরুত্ব বেড়েছে সমাজের কাছে৷
দুই সপ্তাহ পর এমডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে জাতিসংঘে আলোচনা হবে৷ সেখানে অনেক দেশ এখনো কেন শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারেনি সেটা নিয়ে আলোচনা হবে৷

সুত্র

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »