সফল বাংলাদেশ

সফল বাংলাদেশ: সব সফলতার খবর আলোচনা হোক গর্বের সাথে

জাতিসংঘের বিশেষ শিক্ষা প্রবর্তনের সদস্য হল বাংলাদেশ


NewImage

জাতিসংঘের বিশেষ শিক্ষা প্রবর্তনের সদস্য হয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বিশ্বের ১০টি উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের সরকার প্রধানকে নিয়ে বিশেষ শিক্ষা প্রবর্তন চালু করছেন। শিক্ষাখাতে বিপুল সাফল্য অর্জিত হওয়ায় বাংলাদেশ এর সদস্যপদ লাভ করলো। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সদস্যপদ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন। নিউইয়র্কে   জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফররত শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. আশা রোজ মিগিরোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তার অফিসে মিলিত হন। সাক্ষাত্কালে ড. আশা রোজ মিগিরো বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে অভূতপূর্ব উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশের শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সংস্কার বিষয়ে ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেলকে অবহিত করেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশেষ করে বাংলাদেশের ছাত্রী বৃত্তির সুফল হিসাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের অর্জন বিষয়ে আলোকপাত করেন। শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্বল বিষয়গুলো যেমন কোয়ালিটি অব এডুকেশনের উন্নয়ন এবং ঝরে পড়ার হার উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ২০১৫ সালের সহস াব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ছাত্র-ছাত্রীদের জেন্ডার পেরিটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ অর্জন করেছে। উল্লেখ্য, ছাত্রীদের ভর্তির সংখ্যা অধিকতর হয়েছে। ২০১৫ সালের সহস াব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ক্ষেত্রে সাফল্য ৯৯% এর অধিক অর্জিত হয়েছে। ১ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত এ বছর ২ কোটি ৩২ লাখ বই বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আগামী শিক্ষা বছরে তা বাড়িয়ে ২ কোটি ৭০ লাখ টেক্সট বুক বিতরণ করা হবে।

ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জাতিসংঘের পিস কিপিং-এ বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন। শিক্ষামন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক প্রফেশনাল ও মেধাবী রয়েছেন যারা জাতিসংঘের অন্যসব দপ্তরেও পারদর্শিতার সঙ্গে সেবাদান করতে পারেন। সাক্ষাত্কালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং মিশনের ইকোনোমিক মিনিস্টার মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র

NewImage

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১২

কূটনৈতিক রিপোর্টার: সবার জন্য টেকসই জ্বালানি-শীর্ষক জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ‘সাসটেইনেবল এনার্জি ফর অল’ ইনিশিয়েটিভের সিনিয়র উপদেষ্টা লুইস গোমেজ গতকাল সচিবালয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান। সাক্ষাৎকালে বান কি মুনের উদ্যোগ সম্পর্কে তার একটি লিখিত বার্তাও হস্তান্তর করা হয়। ওই বার্তায় পৃথিবীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তার এ উদ্যোগ বলে জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। সবার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করা, বিশ্বের জ্বালানি দক্ষতা দ্বিগুণ করা এবং চাহিদার অর্ধেক নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আহরণ করার জন্য তার এ উদ্যোগে রাষ্ট্রসমূহ আশাব্যঞ্জক সাড়া দেবে বলেও আশা করেন বান কি মুন। বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান পরিবেশমন্ত্রী। বিশ্বব্যাপী অপরিকল্পিত জ্বালানি ব্যবহারের কারণে পৃথিবী ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পোন্নত দেশসমূহে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে একদিকে যেমন শক্তির অপচয় হচ্ছে তেমনি উত্তপ্ত করছে সৌরমণ্ডলকে। এতে প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি ত্বরান্বিত হচ্ছে। এর শিকার হচ্ছে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মোট  জ্বালানির ৭ থেকে ৮ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আহরণ করছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এর হার আরও ১০-২০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য কাজ চলছে। আগামী দিনের সব উন্নয়নের চালিকাশক্তি হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের এ উদ্যোগে ১১৮টি দেশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব। নতুন প্রজন্মকে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ সহায়ক হবে বলেও আশা করেন তিনি।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »