সফল বাংলাদেশ

সফল বাংলাদেশ: সব সফলতার খবর আলোচনা হোক গর্বের সাথে

বাংলাদেশের অর্থনীতি ভাল করছে ॥ পঙ্কজ শরণ

বাংলাদেশের অর্থনীতি খুবই ভাল করছে। আর এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে সেটা শুধু নিজেদের উন্নয়ন হবে তা নয়, বরং গোটা অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে এ দেশের সব ধরনের উন্নয়নে পাশে থাকতে চায়। বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জ পরিদর্শন শেষে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ডিএসই’র বিভিন্ন বিভাগ এবং বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন করেন। এর আগে তিনি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পঙ্কজ শরণ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জ ডায়নামিক পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক ভাল। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শেয়ার বাজার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি ডিএসই’র নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, একটি সুস্থ, স্থিতিশীল পুঁজিবাজার যে কোন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সংস্কার থেকে ডিএসই শিক্ষা নিতে পারে। এতে একই ধরনের ভুল হবে না। এ ক্ষেত্রে ভারত ডিএসইকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করবে। ডিএসই’র সদস্যদের ভারতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের জন্য ভারত তার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে। এর ফলে দুই দেশের ব্যবসাবাণিজ্য আরও বেশি সম্প্রসারিত হবে।
ডিএসইর প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান বলেন, ভারতের হাইকমিশনার পরিদর্শন শেষে ডিএসইর কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন। তিনি আমাদের আইটি বিভাগ ঘুরে দেখেছেন। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের উন্নয়নে তিনি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদেরও প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমরা সব সময় আন্তরিক। এজন্য এমএসএ প্লাস সফটওয়্যার সংযোজন করেছি, আইটি বিভাগের উন্নয়ন করেছি। স্টক এক্সচেঞ্জের সংস্কারের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনার সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। রকিবুর রহমান আরও বলেন, ভারতের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বেশ কিছু সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই সব সংস্কার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরও উন্নয়ন করতে হবে। ভারতের অর্থমন্ত্রী সরকারী শেয়ারগুলো অফলোড করেছে তাদের দেশের স্বার্থে। পঙ্কজ শরণ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও সরকারী কোম্পানির শেয়ার অফলোডের পরামর্শ দিয়েছেন। এ সময় ডিএসইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী, সহ-সভাপতি মোঃ শাজাহান, পরিচালক খাজা গোলাম রসুল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ভারতীয় হাইকমিশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

link

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের হার বেড়েছে ১১.৪৮ শতাংশ

NewImageNewImage

 নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১শ’ ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাসের চেয়ে ১১.৪৮ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭.৫৫ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

ধারণা করা হচ্ছে, রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশি পরিমাণে ফরেন রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যাতে দেশে থাকা পরিবার-পরিজনরা সুন্দর ভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। 

এছাড়া লন্ডনে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমসকে কেন্দ্র করে লন্ডনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের বাড়তি আয়ের উল্লেখেযোগ্য পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠানোয় এর পরিমাণ বেড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

বাংলাদেশি পোশাকের নতুন সম্ভাবনার দ্বার মালয়েশিয়া

NewImage


অর্থনৈতিক রিপোর্টার

মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক শিল্পের নতুন বাজার হিসেবে দেখা হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশি পণ্য ও সেবার মেলা ‘শোকেজ বাংলাদেশ-২০১২’ আয়োজন সম্পর্কিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, সে দেশের সরকার ইতিমধ্যে তৈরি পোশাকসহ ৩০০টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালয়েশিয়ায় বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রফতানি করা যাবে। এ ছাড়া হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, হারবাল পণ্য, রাবার, প্লাস্টিক, সিরামিক, টেবিল ওয়্যার, হালাল খাদ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে। 
ডিসিসিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট আসিফ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, এমসিসিআইর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নূরুল ইসলাম, মহাসচিব আলমগীর জলিল, মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নূরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। 
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বাংলাদেশের শিল্প খাতে বিদ্যমান সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, দেশের ইমেজ ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য মালয়েশিয়ায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের আবহমানকালের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শিল্প উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। এ মেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে সুসংহত পর্যটন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, কৃষিভিত্তিক শিল্প খাত গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। অতীতে সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে নীতির পরিবর্তন হওয়ায় শিল্পায়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শিল্পনীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় এ মেলা আয়োজনের মাধ্যমে সে দেশে বাংলাদেশি পণ্যের ভোক্তা শ্রেণী তৈরি হবে। ফলে মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের উৎসাহ পাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে উদীয়মান শিল্প খাতে মালয়েশিয়ার উন্নত প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
বক্তারা বলেন, বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ করে দিলে মালয়েশিয়া থেকে বছরে দেড় বিলিয়ন ইউএস ডলার বাংলাদেশে আসবে। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রায় ৫ লাখ বৈধ বাংলাদেশি শ্রম শক্তির জন্য দেশে সহজে রেমিটেন্স পাঠাতে আসন্ন শোকেজ বাংলাদেশ-২০১২ তে ব্যাংক ও রেমিটেন্স সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সুযোগ অবারিত করা হবে।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে

NewImage

সুত্র

ড. আহমদ আল-কবির
বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা ‘মিরাকল’ (গরৎধপষব)। উন্নয়নের সূচকগুলো বিবেচনায় নিলে বিশেষ করে আর্থসামাজিক অবস্থার বিচার-বিশ্লেষণ করলে এমন প্রতীতি জন্মাবে যে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ। সাধারণভাবে পাঠ্যবইয়ে অর্থনীতির যেসব তাত্তি্বক বিষয় পড়ানো হয়, তা বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি ও প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মেলানো কঠিন। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘দারিদ্র্য বিমোচনকে’ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াই চালিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বর্তমান দরিদ্রের হার ২৮ শতাংশ যা ২০০৬ সালে (গত বিএনপি সরকারের শেষ বছর) ছিল ৪০ শতাংশের উপরে। কৃষি, শিক্ষা, মা ও শিশুমৃত্যু, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ অন্যান্য সামাজিক খাতে যুগান্তকারী উন্নয়নের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও মাথাপিছু আয়সহ অর্থনীতির অনেক সূচকে ব্যাপক উন্নতি আমাদের প্রবৃদ্ধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। গত তিন বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ শতাংশেরও অধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ও ২০১১-১২ সালে ৬.৭ শতাংশ অতিক্রম করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ হার গড়ে ৩.২ শতাংশ এবং ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত গড়ে ৪.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হচ্ছিল। বাংলাদেশের এউচ প্রবৃদ্ধির হার পাকিস্তান, নেপালসহ এ২০-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো (আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান ইত্যাদি) থেকে ও ২০১১ সালে ভালো অবস্থানে (২৪তম) আছে। 
২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে ১৬টি দেশ সাফল্য দেখাতে পেরেছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, নারী উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ও কৃষি উন্নয়ন বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে বলে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই বলেছেন। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে উত্তরোত্তর সাফল্য অনেক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞের কাছে আদর্শ হিসেবে কাজ করছে। জাতিসংঘের ৬৬টি শান্তি মিশনের মধ্যে ৪৫টি মিশনেই বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে এবং দুটি মহিলা শান্তিরক্ষী দল পাঠাতে সক্ষম হয়। বিশ্ব ফোরামে বাংলাদেশের সাফল্যের মধ্যে ২০১০ সালের গউএ অধিৎফ-৪, ২০১১ সালে ঝড়ঁঃয ঝড়ঁঃয ঘবংি অধিৎফ, এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশের দুটি ঘএঙ কর্তৃক ঊহবৎমু ওহহড়াধঃরড়হ অধিৎফ লাভ করা অন্যতম। এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ঈষরসধঃব ঈযধহমব, ঞবৎৎড়ৎরংড়স ও ঠরড়ষবধহপব-সহ সব আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
২০০৭-০৯ সালব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বিশ্ব অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ালেও ২০১১ সালে আবারও একটি বড় ধাক্কা ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়া মহাদেশ এ ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে হচ্ছে। মন্দা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে উন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো বিপুল বাজেট ঘাটতি, উচ্চ সরকারি ঋণ (ঢ়ঁনষরপ ফবনঃ) মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের হার বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দেশের সার্বভৌম ঋণ (ংড়াবৎবরমহ ফবনঃ) সমস্যা প্রবৃদ্ধির গতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি উন্নত দেশের চলতি হিসাবে বিশাল আকারের ঘাটতি এবং জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ ও কয়েকটি বিকাশমান অর্থনীতির চলতি হিসাবে বিশাল আকারে উদ্বৃত্ত বিশ্ব অর্থনীতিকে ভারসাম্যহীন করে তুলেছে। এ ভারসাম্যহীনতা কমিয়ে আনার ব্যর্থতা বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে অনেকটা নাজুক করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক পরিম-লে নীতি নির্ধারণে সমন্বয়ের অভাবও বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনার সংস্কার কার্যক্রমকে বিলম্বিত করছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শুরুতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব না পড়লেও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক থেকে রপ্তানি ও আমদানি খাতে কিছুটা প্রভাব পড়ে যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। মন্দা-পরবর্তী বিশ্ব বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেরও বৈদেশিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় এবং ২০১০-১১ অর্থবছরের রপ্তানি ও আমদানি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২৩ বিলিয়ন ও ৩২ বিলিয়ন ডলার (যা ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ১০.৫ বিলিয়ন ও ১৪.৭ বিলিয়ন ডলার)। ২০১১ সালের শেষ ছয় মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় আবারও বাংলাদেশে চাপ অনুভূত হচ্ছে এবং এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি ও সরকারি ঋণের বৃদ্ধি ঘটছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বিশ্বমন্দার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে যথাযথ আগাম ধারণা অর্জন এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক উদ্যোগ ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের মতো নানাবিধ সহায়তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে মন্দার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। মন্দার প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আবাসন শিল্পে ধস নামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ হতে শ্রমশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির গতি কিছুটা হ্রাস পায়। তবে এ সময় রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকে এবং ২০০৮-০৯ ও ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয় যথাক্রমে ২২.৪২ শতাংশ ও ১৩.৪০ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে জনশক্তি রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেলেও জানুয়ারি, ২০১১ সাল থেকে তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং তা ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১.৬৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে (২০০৫-০৬ বছরে এর পরিমাণ ছিল ৪.৮৭ বিলিয়ন ডলার)। কর্মসংস্থান বাড়ানো ও বেকারত্ব কমাতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৪৬তম যা তার পাশের দেশ ভারত (১১১তম), আফগানিস্তান (১৮০তম), পাকিস্তান (১৫২তম) এবং নেপাল (১৯০তম) থেকে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পঞ্চম জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা বজায় থাকা ও মন্দা-পরবর্তী বিশ্বব্যাপী পণ্য ও সেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশের রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যে যেমন উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক ও রাজস্ব খাতে গৃহীত ব্যবস্থার পাশাপাশি মুদ্রা খাতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ধানের ভালো উৎপাদন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকায় আগামী মাসগুলোয় বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করা যায়। রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস ও বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১০-১১ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত হ্রাস পেয়েছে। এ সময়ে বিনিময় হারের অবনতি ঘটেছে। তা সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সহনশীল পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ৯.৫ বিলিয়ন ডলার। জানুয়ারি ২০১১ থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং অবকাঠামো খাতে সরকার যে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে তার সফল বাস্তবায়ন অর্থনীতিতে অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করবে যা দেশকে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
উন্নত বিশ্বের তথ্য মাধ্যমে সাধারণত বাংলাদেশ সম্পর্কে ২০০৯ সালের আগে পর্যন্ত নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হতো। এ খবরগুলো সুখকর ছিল না। বন্যা, খরা, অপুষ্টি, খাদ্যস্বল্পতা, আর্থিক সংকট ইত্যাদি বিষয় পশ্চিমা পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশন তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিল। অথচ এ দেশের যে গর্ব করার মতো অর্জন হয়েছে সে সম্পর্কে তারা নিশ্চুপ থাকতে পছন্দ করত। বাংলাদেশ মানেই হতাশা ও ব্যর্থতা, এটাই পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে এতদিন প্রতিষ্ঠিত ছিল। বিশ্বমন্দা উত্তরণের সময়ে বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে নজরকাড়া অর্জন, পরিবার পরিকল্পনা, শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে বৈপ্লবিক উন্নতি, শিক্ষা বিশেষ করে নারীশিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রায়ই বেরোচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু গড় আয় ২০০৬ সালে ৪৮৭ ডলার থেকে ২০১১ সালে ৮১৮ ডলারে পেঁৗছেছে_ তা বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে উন্নত করার লক্ষ্যে বড় অর্জন বলে আমরা মনে করি।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের কতিপয় মহলের চিন্তা ও প্রচারণা খুবই নেতিবাচক। বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক নেতা, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী দেশটাকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণের জন্য উঠেপড়ে লেগে গেছেন। তাদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচক ঋণাত্মক, এর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় নিঃশেষ হয়ে আসছে, পুঁজিবাজারের অচলাবস্থা শেষ হবে না, বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোর কাছে আমাদের ভাবমূর্তি উত্তরোত্তর সংকটের মধ্যে পড়েছে, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ থমকে আছে, সর্বোপরি সর্বত্র সুশাসনের অভাব দেখা দিয়েছে এবং মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে, এ মর্মে প্রচুর বক্তব্য আমরা দেখি ও শুনি। 
আমি এসব সম্মানিত বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক-পেশাজীবী (আমাদের দেশে রাজনীতিকেও অনেকে একটি অর্থকরী পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন) ও টক শো আয়োজকদের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। মোটা দাগে বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কখনো ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি এ দেশে দেখা যায়নি। স্বাধীনতার আগে ও পরে এদেশে মাত্র কয়েক বছর অর্থনীতির অবস্থা খারাপ ছিল এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের অর্থনীতি নাজুক থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্বাধীনতার পরপর এদেশে মাত্র কয়েকশ কোটি টাকার বাজেট ছিল। এখন তা লাখো কোটি অতিক্রম করেছে। এটা যে কোন মাপকাঠিতে খুব বড় একটি অর্জন এবং এটা নিয়ে বিজয়ের ৪০ বছরপূর্তিতে আমরা গর্ব করতে পারি।
বৈশ্বিক মন্দার অভিঘাত মোকাবিলায় যথেষ্ট দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬.৬৬ শতাংশে। কৃষি খাতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার পাশাপাশি শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়ানো এবং সেবা খাতের সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি সার্বিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। এ সময়ে রাজস্ব আহরণের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও সুষ্ঠু বাজেট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং রাজস্ব আহরণের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও সুষ্ঠু বাজেট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং রাজস্ব খাতে শৃঙ্খলাও বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বের যে কোন উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঈর্ষার বিষয়। মোট জাতীয় উপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২০১১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ২৪তম ছিল (২০১০ সালে বাংলাদেশের এ অবস্থান ছিল ৫৫তম), এর অর্থ হলো বিশ্বে এখন ১৯১টি স্বাধীন দেশ রয়েছে, যাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে কম। বিগত ৩ বছরে বাংলাদেশ গড়ে ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। এ বছর তা ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা যায়। তারপরও কি আমরা বলব বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র?
আমদানি ও রপ্তানি খাতে ২০১০-১১ অর্থবছরে ব্যাপক বৃদ্ধি অনেক বিশ্লেষককে আশ্চর্যান্বিত করেছে। এ দুই ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ার শীর্ষ তিনের মধ্যে। পরিসংখ্যান দেখলে তা সহজেই বোঝা যায়। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা প্রথম। রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা নতুন বাজারে প্রবেশ করছি। রপ্তানিতে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের গার্মেন্টস খাতের সঙ্গে রেমিট্যান্স ও ওষুধ খাত প্রতিযোগিতা করবে। এছাড়া মানবসম্পদের উন্নয়ন করতে পারলে সে খাতটিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে দক্ষ মানবসম্পদ রপ্তানির বড় সুযোগ রয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বাজার ধরতে পারলে রেমিট্যান্স কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব।
খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানি মূল্য বিশ্বের সর্বত্রই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি হ্রাস পাবে এমন সম্ভাবনা কম। সম্মানিত বৃদ্ধিজীবীদের আলোচনা শুনলে মনে হয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার জন্যই দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের অবগতির জন্য বলছি যে, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় একই রকম। স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে দরিদ্রের হার কমছে এবং এ বছর তা ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে বাজার বিশ্লেষক ও রাজনীতিকরা তাদের নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পুঁজিবাজারের ২০১১ সালের নিম্নমুখী প্রবণতা বিশ্লেষণ করলেও বর্তমানে সঠিক অবস্থা অনেকটা পরিষ্কার। আমি মনে করি পুঁজিবাজারে উত্থান ও পতন একটি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক সরবরাহ বিবেচনায় নিয়ে ২০১০ সালে শেষের দিকে সূচকে ব্যাপক উত্থান ছিল অস্বাভাবিক। এ সময়ে এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী তাদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে বাজার থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১ হাজার ৪৯১ জন পরিচালকের শতকরা দুই ভাগের কম শেয়ার তাদের নিজ কোম্পানিতে আছে। এছাড়াও ৩৮টি কোম্পানির স্পন্সর ও পরিচালকদের শতকরা ৩০ ভাগের কম শেয়ার তাদের মালিকানায় আছে। এসব কোম্পানি ও পরিচালকরাই তাদের শেয়ার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করেছিলেন এবং তারা (ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী) তাদের মূলধন হারিয়েছেন। সরকার এ ধরনের অব্যবস্থা রোধে ডি-মিউচুয়েলাইজেশন করার উদ্যোগসহ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট গ্রহণ করে এসইসিকে পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে এসব ব্যবস্থার বাস্তবায়নকে সবাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পুুঁজিবাজারকে তার নিজস্ব গতিতে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে তাদের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ ও দীর্ঘমেয়াদি নির্দেশনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
দেশে মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা সরবরাহ পরিস্থিতি, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে অধুনা অনেক নেতিবাচক কথাবার্তা হচ্ছে। এ সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বগামী থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ আমাদের গার্মেন্টস খাতের সাফল্যের পথ ধরে এগিয়ে এসেছে ওষুধ শিল্প, চামড়া, পাদুকা শিল্প, সফটওয়্যার সামগ্রী ও প্রসাধনী শিল্প। এছাড়া মানবসম্পদের উন্নয়ন করে বিদেশের শ্রমবাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মানবসম্পদ রপ্তানির মাধ্যমে শ্রমবাজারগুলো ধরে রাখতে পারলে রেমিট্যান্স আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করা যাবে যা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট অবস্থানে ইতিবাচক প্রতিঘাত ফেলবে। বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী সবার কর্মসংস্থানের জন্য যুবসমাজকে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে প্রশিক্ষণ প্রদানে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করতে হবে। এ সুযোগ তৈরি করার জন্য সরকারকে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সুস্পষ্ট নীতিমালা ও লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে হবে। বর্তমান সরকারের ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়াই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একমাত্র রক্ষাকবচ। তাই সব অর্থনৈতিক কর্মকা-ে (যথা ট্যাক্স ও রেভিনিউ সংগ্রহ, ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি) বর্তমান সরকারের ঘোষিত ব্যবস্থাগুলো কৃতিত্বের দাবিদার।
পাশাপাশি তরুণ পেশাজীবীদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া জরুরি। তরুণ পেশাজীবীদের আমি সম্মান করি। উন্নতির জন্য দুটি বিষয় খুবই জরুরি। একটা হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, অন্যটি তরুণ পেশাজীবীদের গুরুত্ব প্রদান। বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ লোকের বয়স ৪০ বছরের নিচে আর ৩৪ শতাংশ ১৪ বছরের নিচে। এ দুটি অবস্থা থেকে বোঝা যায়, তরুণদের কথার বা মতামতের প্রতিফলন যদি না করা হয়, তাহলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন অথবা রাজনৈতিক উন্নয়ন কোনটিই অর্জন করা সম্ভব নয়।
স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, কিছু প্রতিবন্ধকতার জন্য আমাদের অর্থনীতি পূর্ণমাত্রায় গতিশীল হতে পারছে না। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন। পর্যাপ্ত গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অপরিহার্য। উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাও জরুরি। আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। 
আমলাতন্ত্রের দক্ষতার অভাবে প্রচুর অর্থব্যয় সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী আশানুরূপভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে না। এমনকি বৈদেশিক সহায়তা যথাযথ ব্যবহারের অপারগতায় বিভিন্ন প্রকল্পের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি ও অনেক অর্থ অব্যবহৃত থেকে ফেরত যাচ্ছে। এসব প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াও সবসময় আমাদের অর্থনীতিকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের খামখেয়ালিপনা, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও অস্থিরতা, বিশ্ববাজারে তেল ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি আমাদের অর্থনীতির ভিত নাড়িয়ে দেয়।
জাতি গঠনে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই তাদের যুক্তিনির্ভর, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়া জরুরি। সত্য গোপন করে বা আংশিক গোপন করে পূর্বাপর সূত্রহীন কোন তথ্য সাময়িক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করতে পারে, তবে এ থেকে দীর্ঘদিন ধরে কোন ফায়দা নেয়া যায় না। যদি তারা পক্ষপাতদুষ্ট হন এবং মহল বিশেষের ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির প্রতিভূ হিসেবে কাজ করেন তবে শেষ পর্যন্ত তারা জনসাধারণের আস্থা ও সমর্থন হারাবেন। দেশে মতপ্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, তবে আমার মতে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যুক্তিতর্কের ও উপাত্তের সাহায্যে মতামত প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেয়া উচিত অন্যথায় আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

সামুদ্রিক শৈবালের গুণ:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাফরের গবেষণা

NewImage

চবি: ‘সামুদ্রিক শৈবাল’ বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ জলজ সম্পদ হিসেবে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে মানুষের ভক্ষণযোগ্য ও শিল্পের কাচাঁমাল ছাড়াও রপ্তানি পণ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে এ জলজ উদ্ভিদ।  
এটি উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং ঔষুধি ও শিল্পের কাঁচামালে সমৃদ্ধ প্রজাতি। এর ক্যরাজিনান নামক পদার্থ মানবদেহে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এমনকি ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবেও এটি ব্যবহার করা হয়।
সামুদ্রিক শৈবালের এমনসব গুণসহ নানা তথ্য উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাফর পরিচালিত এক গবেষণায়।  
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বিশেষ করে সেন্টমার্টিনস দ্বীপে ১৪০ প্রজাতিরও বেশি শৈবাল পাওয়া যায়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে কোন ভূমিকাই রাখছে না, বরং সমুদ্রতটে অব্যবহৃত অবস্থায় নষ্ট হচ্ছে। 
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধশ‍ালী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সেন্টমার্টিনস দ্বীপ ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের লবণাক্ত জলরাশিতে অব্যবহৃত অবস্থায় নষ্ট হওয়া এই ‘সামুদ্রিক শৈবাল’ যার বৈজ্ঞানিক নাম Hypnea sp ও  Caulerpa racemosa।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে ড. মোহাম্মদ জাফর বলেন, ‘জলজ উদ্ভিদ শৈবাল আমরা প্রতি নিয়ত অবচেতন মনে ব্যবহার করছি। চকলেক, ট্যাবলেটের বাইন্ডিংসহ নানাভাবে একে আমরা ব্যবহার করি।’
ব্রিটিশ সরকারের আর্ন্তর্জাতিক সংস্থা ডিএফআইডি (DFID) এর সোফার (SUFER) প্রকল্প এবং বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজের কারিগরি সহযোগিতায় এ গবেষণা সম্পন্ন করেছেন প্রফেসর ড. জাফর। যা দেশের জলজ উপকারী উদ্ভিদ চাষের ক্ষেত্রে একটি নতুন ও সম্ভবনাময় দ্বার খুলে দিয়েছে।
এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু ঔষুধই নয়- অর্থনীতিতেও এর অবদান রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ জাপানে জিডিপির শতকরা ১ শতাংশ অবদান রাখছে শৈবাল। চীন ও জাপানে জনগণের খাদ্যভাসে শৈবাল রাখায় ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কম। অনেক সময় ডায়রিয়ার ঔষধ হিসেবেও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। টিউমার বৃদ্ধি রহিতকরণের পদার্থ  তো এতে আছেই।’ 
বাংলাদেশেও শৈবাল হতে অন্যতম রপ্তানি পণ্য। এই প্রয়োজনীয় জলজ উদ্ভিদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও রক্ষায় সরকারি পৃষ্টপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোগ দরকার বলে মনে করেন তিনি। 
দেশে শৈবাল চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন জানিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে গবেষক ড. জাফর বলেন, ‘বিশ্বে সামুদ্রিক শৈবালের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১০ মিলিয়ন মেট্রিকটন। বাংলাদেশের জন্য সামুদ্রিক শৈবাল চাষ সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারণা।’
‘দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে (প্রধানত সেন্টমার্টিনস দ্বীপে) সামুদ্রিক শৈবাল চাষ শুরু হয়েছে। ম্যানগ্রোভ এলাকাও প্রায় ১০ প্রজাতির শৈবাল আছে। এগুলো সংগ্রহ ও চাষাবাদ করে অনেক বেকার স্বাবলম্বীও হচ্ছে।’-জানালেন জাফর।
তবে স্থানীয় লোকদের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই বলেও জানান তিনি। 
মাঠ পর্যায়ে গবেষণা তথ্যে জানা যায়, Hypnea sp (যা কুমারীর চুল বা সেমাই হিসেবে পরিচিত) একটি দ্রুত-বর্ধনশীল প্রজাতি এবং এটি যে কোন শক্ত বস্তুর উপর জন্মে। প্রবাল, পাথর, রশি, বাঁশসহ অন্য শৈবালের উপরও জন্মে এই জলজ উদ্ভিদ।
গবেষক জানান, সরকার সেন্টমার্টিনস এলাকাকে ‘ক্রিটিক্যাল জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু ওইখানে বাণিজ্যিকভাবে ও প্রাকৃতিকভাবে শৈবাল চাষ করলে পরিবেশের আরও সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সম্পাদিত এ গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০২ সালে। এর উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য সামুদ্রিক শৈবাল চাষ প্রদ্ধতির উদ্ভাবন, যা সহজেই স্থাপনযোগ্য ও চাষের অনুকূলে। এ প্রযুক্তি চাষীরা সহজেই ব্যবহার করতে পারে এবং চাষ পদ্ধতির উপাদানগুলো জৈব ও পরিবেশ বান্ধবও বটে।’
সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সামুদ্রিক শৈবালের ব্যাপক চাষের উদ্যোগ, এর পুষ্টিগুণ, অর্থনৈতিক চাহিদা, জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা, ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিলে দেশে এর বৈধ ও স্থায়ী বাজার সৃষ্টি সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন গবেষক ড. জাফর। 
‘সেন্টমাটিনস দ্বীপের স্থানীয় লোকজন জোয়ার-ভাটার অর্ন্তবর্তী স্থান থেকে সামুদ্রিক শৈবাল সংগ্রহ করে সূযের্র তাপে শুকিয়ে তা প্রতি মণ ২৫০-৫০০ টাকা (৭ থেকে ৮ ডলার) হারে মিয়ানমারে বিক্রি করছে। যা যুগ যুগ ধরে চলছে।’ 
জিডিপিতে বিশেষ অবদান রাখতে পরে এই সামুদ্রিক শৈবাল দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই প্রয়োজনীয় জলজ উদ্ভিদের যদি কার্যকর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে মিয়ানমার ছাড়াও জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, হংকং, ব্রাজিল, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের আন্তর্জাতিক বাজার দখল করা সম্ভব।’ 
বাংলানিউজকে ড. জাফর এ সর্ম্পকে বলেন, ‘উচ্চ পুষ্টিমান গুণসম্পন্ন এ জলজ উদ্ভিদটি ডায়াবেটিসের প্রতিরোধ হিসেবে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপই এই সামুদ্রিক শৈবাল বাংলাদেশের একটি নতুন রপ্তানি পণ্য হিসেবে যোগ হয়ে অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে পারে।’ 
বাংলাদেশ সময়:  ০৭৩১ ঘণ্টা, মে,০৪,২০১২এমবিএম/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

Bangladesh could join what have been called the “7 percent club” of economies

NewImage

New York Times Apr 24, 2012, 10.24AM IST

COX’S BAZAR: Bangladesh is probably one of the last places in Asia people would expect to see a thriving beachside resort with luxury hotels.

And yet, Cox’s Bazar is exactly that – a place where affluent Bangladeshis go for a weekend of seaside fun. During the high season, when the monsoon rains are not pounding the country, the beach is filled with children and their watchful parents among slightly dilapidated orange beach umbrellas.

About five years ago, only a few luxury hotels were in this small city on the Bay of Bengal. Now there are a dozen, and counting. Smaller hotels and guesthouses are proliferating, and property prices have risen sharply.

The transformation of Cox’s Bazar from remote backwater to a beach El Dorado encapsulates the changes that have taken place in this country of 160 million people, and many other developing Asian countries, over the last couple of decades.

“A middle class is gradually forming,” said Zahid Hossain, principal economist at the Asian Development Bank in Dhaka, the capital of Bangladesh. The growth in the country mirrors the developments in other emerging economies, he said. “Domestic demand is growing and becoming an important driver of economic activity.”

The progress, though, has been uneven. As in other Asian countries, the gap between rich and poor has widened in Bangladesh, giving rise to social tensions and sometimes violent protests. The murder this month of Aminul Islam, a prominent labor rights activist, apparently in retaliation for his advocacy work, put a spotlight on the low wages and poor working conditions that prevail in burgeoning sectors like the garment industry.

In Bangladesh’s countryside, home to more than 70 percent of the population, subsistence farming remains the norm, and weather-related disasters regularly wreak havoc in the flat lowlands.

Foreign direct investment in Bangladesh has languished at about $1 billion a year – less than what Albania or Belarus each receive, and about one-tenth of foreign investments in Thailand or Malaysia. Inadequate power and transportation infrastructures, political infighting, bureaucracy, corruption and a shortage of skilled laborers contribute to a challenging investment climate.

Yet despite this, the Bangladeshi economy has managed to grow more than 6 percent a year for much of the past decade.

Economists at Standard Chartered Bank believe that Bangladesh could join what have been called the “7 percent club” of economies that expand at least 7 percent annually for an extended period – allowing their economies to double every decade. Current members of the “club” include China, Cambodia, India, Mozambique and Uganda.

HSBC included Bangladesh in a group of 26 economies – along with China, India and several Latin American and African countries – where it expects particularly strong growth. The U.S. and much of Europe, by contrast, are likely to remain merely stable, according to HSBC’s projections.

The gradual shift in global production to low-cost countries, from developed economies in Europe and North America, is driving much of that growth. The trend, which began turning parts of Asia – notably China – into manufacturing hubs in the 1980s and 1990s, has started to take root in Bangladesh.

For now, Bangladesh’s manufacturing prowess is primarily focused on the garment sector, which has grown into a multibillion-dollar industry that employs 3.6 million people and accounts for 78 percent of the country’s exports.

Bangladesh has seen particularly strong growth in the last few years, partly because of rising labor costs in China, where manufacturing is moving into higher-margin activities like product design.

“For many years, China was almost always the hands-down answer to all buyers’ needs,” the consulting firm

McKinsey noted in a recent report. Now, Western wholesale buyers of garments are looking for the “next China,” and Bangladesh “is clearly the preferred next stop for the sourcing caravan.”

Bangladesh exported nearly $18 billion worth of garments in the 12 months through June 2011, $10.5 billion of that to the European Union and $4.6 billion to the U.S., according to the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association. The total nearly doubled from four years earlier, and McKinsey forecast that the garment industry would grow by as much as 9 percent a year over the next decade.

Li & Fung, a giant Hong Kong trading company that supplies retailers including Wal-Mart with clothing mostly purchased from Asia, is a case in point. Last year, the company bought $1 billion worth of apparel from manufacturers in Bangladesh, 41 percent more than in 2010. Bangladesh overtook Vietnam and Indonesia in 2011 to become the second-largest source of such products for Li & Fung, after China.

 

But infrastructure bottlenecks and power cuts are substantial “negatives,” Bruce Rockowitz, chief executive of Li & Fung, said at a recent news conference in Hong Kong. Still, the company intends to increase the business it does in Bangladesh. “The prognosis,” Rockowitz said, “is good.”

Another driver of economic growth has been the inflow of remittances – money sent home by Bangladeshis who have sought employment abroad. More than $11 billion worth of remittances flowed into Bangladesh last year, more than 10 times the amount from foreign investment, and the annual inflow is expected to rise to $20 billion in five years’ time, the government estimates.

Of course, the fact that tens of thousands of Bangladeshis go abroad each year highlights a weakness in the country’s economy: well-paid jobs are hard to come by.

Manufacturing is mostly confined to low-level, fairly unskilled assembly work, rather than to high-end production or design. Moreover, “other sectors, such as shipbuilding and pharmaceuticals, are only just starting to emerge,” said Agost Benard, who covers Bangladesh for the ratings agency Standard & Poor’s.

Still, the expansion of the past few years and improvements in the agriculture sector mean that domestic demand is growing.

Dhaka, whose population has ballooned to about 15 million, now has car showrooms and a small but growing number of high-end international hotels. Monthly office rents in the most sought-after neighborhoods of the capital can be as high as 250 taka per square foot, or about $3 – levels that would not look out of place in some Western cities, according to the real estate services firm Jones Lang LaSalle.

In Cox’s Bazar, construction sites pockmark the once laid-back beachfront. A Best Western hotel is in the making. Green Delta Housing, a Bangladeshi construction company, is working on several developments. Carlson Rezidor Hotel Group, which already operates a Radisson in Dhaka, is planning to open two hotels in Cox’s Bazar in 2015.

The town is a long way from turning into Cancun, Mexico, or the Cote d’Azur in France. Rickshaws trundle along the potholed road between the small airport and the hotel zone farther south, where shopkeepers sell dried fish and sunglasses, and rickety stalls on the beach sell souvenirs crafted from seashells.

“This is not ‘Baywatch’ or Hawaii,” said Mikey Leung, a co-author of the Bradt travel guide to Bangladesh. “You’re not talking international-style resorts.”

But Cox’s Bazar has changed a great deal over the past five years, Leung said. “Properties are popping up like daisies, and the development is moving further and further down along the beach. The speed and scale of it is unprecedented for Bangladesh.”

Moniruzzaman, a marketing executive at the Cox’s Bazar office of Green Delta Housing who uses only one name, concurred.

“Many, many things are happening,” he said. “Land is like gold now.”

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

দশ টাকায় হিসাব খুলেছেন ৯৬ লাখ কৃষক

NewImage

১০ টাকায় হিসাব খুলেছেন প্রায় ৯৬ লাখ কৃষক। সামাজিক নিরাপত্তা, মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা প্রাপ্তরাসহ স্বল্প টাকায় হিসাব খুলেছেন আরও ৩২ লাখ ব্যক্তি। সবমিলিয়ে বর্তমানে এ ধরনের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ। রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে সেসব হিসাব খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ টাকায় ৯৫ লাখ ৭১ হাজার ৯৩৫ কৃষক ব্যাংক হিসাব খুলেছেন। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে খোলা হয়েছে ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯১টি, জনতা ব্যাংকে ১৪ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৮৮১টি, রূপালী ব্যাংকে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯১টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২৫ লাখ ৪ হাজার ৯৫টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১৪ লাখ ৭ হাজার ২৫৮টি এবং বেসিক ব্যাংকে ১৭৯টি হিসাব খোলা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এ পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৯৭৭টি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাপ্রাপ্তদের নামে ২৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৩৭টি, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় ভাতাপ্রাপ্ত, বেকার যুবকসহ অন্যদের জন্য ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৫৬টি এবং ১০০ টাকায় ক্ষুদ্র জীবন বীমা গ্রহীতাদের জন্য ৫ হাজার ৮১০টি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও সমাজের সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময় সার্কুলার জারি করে ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি সর্বপ্রথম কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় হিসাব খোলার নির্দেশ আসে। একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর অতিদরিদ্র, ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা, একই বছরের ১৯ জুন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ১৮ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অনুদানপ্রাপ্ত দুস্থদের ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১০ সালের ২ মে বেকারদের জন্য ৫০ টাকায় এবং গত বছরের ১ নভেম্বর ক্ষুদ্র জীবন বীমা গ্রহীতাদের ১০০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 
সে নির্দেশ অনুসারে এসব হিসাব খোলা হয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট বা কৃষি উপকরণ সহায়তার কার্ড দিয়েই হিসাব খুলতে পারেন। কোনো ব্যাংক এসব হিসাবে টাকা জমা রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ অথবা চার্জ বা ফি আদায় করতে পারে না।

 

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত প্রবাসীরা

www.shokalerkhabor.com.jpg

ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতায় ফিরে আসছে দেশের পুঁজিবাজার। গত দেড় মাস ধরে বাজার ইতিবাচক। প্রায় প্রতিদিনই বাজারের সাধারণ সূচক বাড়ছে। বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপে বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।বাজারের এই আচরণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোযোগ এখন দেশের পুঁজিবাজারের দিকে। তারা এখন বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশের পুঁজিবাজারে তাদের হাতে থাকা অলস অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছেন। বিডিনিউজ।ইউকে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলাল আহমেদ জানান, ‘মানুষ এখন আগ্রহী। বাজারে বেশ কিছু উত্সাহব্যঞ্জক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আমি আশা করছি, একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা এবার পুঁজিবাজারে ঢুকবে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বুঝতে পারছেন, এখনই বিনিয়োগের শ্রেষ্ঠ সময় এবং তারা ‘ভালো শেয়ার’ কম মূল্যে কিনতে চান। ‘যদিও গত কয়েক দিনে বাজার কিছু ভালো হয়েছে। কিন্তু এরপরও অনেক মৌলভিত্তিক শেয়ারের (ভালো শেয়ার) দাম এখনও বেশ নিচে। আগামীতে বাজার আরও ভালো হবে-এ প্রত্যাশায় প্রবাসীরা বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন’-যোগ করেন তিনি।সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন যুক্তরাজ্যের কারি লাইফ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে দেশের পুঁজিবাজারে প্রবাসীদের (এনআরবি) বিনিয়োগের আগ্রহের বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ সূচক পড়তে পড়তে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর সূচক ৩ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। এরপর থেকে বাজার বাড়তে থাকে। গত আড়াই মাসে সেই সূচক ১ হাজার ৭৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে উঠেছে।একই সময়ে লেনদেন কমতে কমতে দু’শ’ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছিল। এখন হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে।এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট এম রকিবুর রহমান প্রবাসী বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যে কোনো বিনিয়োগকারীর জন্য এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। আমরা প্রবাসীদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। তারা এগিয়ে এলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। আগামীতে বাজার আরও ভালো হবে বলেও আশাবাদী তিনি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান বেলাল আহমেদ। তিনি বলেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনের মতো ইউরোপের দেশগুলোতে অনেক বাংলাদেশি বাস করছেন। তাদের অনেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন।পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে সরকারের সাম্প্রতিক নানা উদ্যোগ, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইপিও’র ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কোটা এবং পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আনতে সরকারের চেষ্টা-প্রবাসীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উত্সাহী করছে বলে জানান বেলাল আহমেদ। প্রবাসীরা যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও আগ্রহী হন সেজন্য দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধানদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এই প্রবাসী বাঙালি। তিনি বলেন, তারা (ডিএসই ও সিএসই) প্রবাসীদের বিনিয়োগ চায়। কিন্তু দেশের বাইরে এজন্য তাদের কোনো উদ্যোগ নেই। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই গতবারের মতো এবারও লন্ডনে তিন দিনব্যাপী পুঁজিবাজার মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন বেলাল আহমেদ।এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রকিবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে যেসব খাত প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে, সেসব খাতকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। তাই এ ধরনের উদ্যোগকে আমি সমর্থন করি। তবে এ খাতকে যথাযথভাবে যেন তুলে ধরা হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনাবাসী বাংলাদেশিরা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাই তাদের কাছে দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমি এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’লন্ডনে পুঁজিবাজার মেলাপ্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উত্সাহিত করতে আগামী ২৭ মে থেকে লন্ডনে তিনদিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হবে। যুক্তরাজ্যে কারি লাইফ ম্যাগাজিন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কারি লাইফ ইভেন্টস ওই মেলার আয়োজন করছে। লন্ডন মুসলিম সেন্টারে আয়োজিত এই মেলা শেষ হবে ২৯ মে।মেলার আয়োজক সৈয়দ বেলাল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ফেয়ার-২০১২’ শিরোনামে দ্বিতীয়বারের মতো এই মেলার আয়োজন করবে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুফল নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের বাইরে এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের পুঁজিবাজার মেলা। মেলা নিয়ে ভালো সাড়া মিলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মেলার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এর মধ্যেই নিবন্ধন করেছে।’ বেলাল আহমেদ জানান, এপ্রিলে তাদের এ মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও আগ্রহী সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তা মে মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়। অনলাইন ট্রেডিং সুবিধা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ডিএসই ও সিএসইর একদল নির্বাচিত স্টক ব্রোকারসকে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।বেলাল আহমেদ বলেন, তিন দিনের এই মেলায় ১০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তাদের অনেকেই বিও হিসাব খুলবেন। এই মেলা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস-বলেন তিনি।

সুত্র

 

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত প্রবাসীরা

NewImage

ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতায় ফিরে আসছে দেশের পুঁজিবাজার। গত দেড় মাস ধরে বাজার ইতিবাচক।

প্রায় প্রতিদিনই বাজারের সাধারণ সূচক বাড়ছে। বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপে বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজারের এ আচরণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোযোগ এখন দেশের পুঁজিবাজারের দিকে। তারা এখন বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশের পুঁজিবাজারে তাদের হাতে থাকা অলস অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।

ইউকে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলাল আহমেদ বলেছেন, “মানুষ এখন আগ্রহী। বাজারে বেশ কিছু উৎসাহব্যঞ্জক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আমি আশা করছি, একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা এবার পুঁজিবাজারে ঢুকবে।”

তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বুঝতে পারছে যে, এখনই বিনিয়োগের শ্রেষ্ঠ সময় এবং তারা ‘ভালো শেয়ার’ কম মূল্যে কিনতে চায়।”

“যদিও গত কয়েক দিনে বাজার কিছু ভালো হয়েছে। কিন্তু এরপরও অনেক মৌলভিত্তিক শেয়ারের (ভালো শেয়ার) দাম এখনও বেশ নিচে। আগামীতে বাজার আরো ভালো হবে- এ প্রত্যাশায় প্রবাসীরা বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছে,” যোগ করেন তিনি।

স¤প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন যুক্তরাজ্যের কারি লাইফ গ্র“পের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে দেশের পুঁজিবাজারে প্রবাসীদের (এনআরবি) বিনিয়োগের আগ্রহের বিষয়ে এ সব কথা বলেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ সূচক পড়তে পড়তে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর সূচক ৩,৬১৬ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। এর পর থেকে বাজার বাড়তে থাকে। গত আড়াই মাসে সেই সূচক ১,৭৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৩৬৭ পয়েন্টে উঠেছে। একই সময়ে লেনদেন কমতে কমতে দুইশ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছিল। এখন হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে। 
‘প্রবাসীদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই’

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট এম রকিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, “যে কোনো বিনিয়োগকারীর জন্য এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। আমরা প্রবাসীদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। তারা এগিয়ে এলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।”

আগামীতে বাজার আরো ভালো হবে বলেও আশাবাদী তিনি। 
এদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান বেলাল আহমেদ।

তিনি বলেন, “ইতালী, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনের মতো ইউরোপের দেশগুলোতে অনেক বাংলাদেশি বাস করছে। তাদের অনেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন।”

পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে সরকারের সাম্প্রতিক নানা উদ্যোগ, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইপিও’র ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কোটা এবং পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আনতে সরকারের প্রচেষ্টা- প্রবাসীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহী করছে বলে জানান বেলাল আহমেদ। 
প্রবাসীরা যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরো আগ্রহী হয় সেজন্য দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধানদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এই প্রবাসী বাঙালি। 
তিনি বলেন, “তারা (ডিএসই ও সিএসই) প্রবাসীদের বিনিয়োগ চায়। কিন্তু দেশের বাইরে এজন্য তাদের কোনো উদ্যোগ নেই।” 
এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই গতবারের মতো এবারও লন্ডনে তিন দিনব্যাপী পুঁজিবাজার মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন বেলাল আহমেদ। 
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রকিবুর রহমান বলেন, “আমাদের দেশে যেসব খাত প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে, সেসব খাতকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। তাই এ ধরণের উদ্যোগকে আমি সমর্থন করি। তবে এ খাতকে যথাথভাবে যেন তুলে ধরা হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে।” 
তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনাবাসী বাংলাদেশীরা সু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই তাদের কাছে দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমি এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।” 
লন্ডনে পুঁজিবাজার মেলা 
প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে আগামী ২৭ মে থেকে লন্ডনে তিন দিনব্যাপী একটি মেলার আয়োজন করা হবে। 
যুক্তরাজ্যে কারি লাইফ ম্যাগাজিন গ্র“পের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কারি লাইফ ইভেন্টস ওই মেলার আয়োজন করছে। 
লন্ডন মুসলিম সেন্টারে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে ২৯ মে। 
মেলার আয়োজক সৈয়দ বেলাল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ফেয়ার-২০১২’ শিরোনামে দ্বিতীয়বারের মতো এ মেলার আয়োজন করবে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। 
“বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুফল নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের বাইরে এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের পুঁজিবাজার মেলা।” 
মেলা নিয়ে ভালো সাড়া মিলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মেলার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এর মধ্যেই নিবন্ধন করেছে।”

বেলাল জানান, এপ্রিলে তাদের এ মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও আগ্রহী সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তা মে মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়। 
অনলাইন ট্রেডিং সুবিধা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ডিএসই ও সিএসই’র একদল নির্বাচিত স্টক ব্রোকারসকে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 
বেলাল আহমেদ বলেন, তিন দিনের এ মেলায় ১০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তাদের অনেকেই বিও হিসাব খুলবেন। 
“এই মেলা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস,” বলেন তিনি। 
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/এএইচ/পিডি/১৩০৩ ঘ.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »

রিজার্ভ আবার ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

ঢাকা, এপ্রিল ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

NewImage

রেমিটেন্স বাড়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা।

গভর্নর আতিউর রহমান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার যোগ হলে রিজার্ভ আরো বাড়বে।” 
দেড় বছর ঝুলে থাকার পর সংস্কারের শর্ত মেনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে একশ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “মূলত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৃদ্ধির কারণেই রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা আশা করছি আগামীতে রিজার্ভ আরো বাড়বে।” 
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। সোমবার তা বেড়ে ১০ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। 
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ৯ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। 
চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২০ দিনে ৭৬ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে। 
২০১০-১১ অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ।

গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের ৯০ কোটি ডলার আমদানি দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে নেমে অসে। 
এরপর রেমিটেন্স বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ বেড়ে সোমবার ১০ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। 
এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে রিজার্ভ চার বার ১১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল। কিন্তু আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পর তা কমে আসে। 
ওই অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে আমদানি ব্যয় বেড়েছিল প্রায় ৪২ শতাংশ। 
গত অর্থবছরের রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে অবস্থান করলেও চলতি অর্থবছরে বেশির ভাগ সময় রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে রিজার্ভ এক পর্যায়ে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। 
১১ এপ্রিল আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ ৬৩ দশমিক ৯৯ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলারের (৯৮ দশমিক৭০ কোটি মার্কিন ডলার) ঋণ অনুমোদন করে। ঋণের অর্থ তিন বছরের মধ্যে কয়েক ধাপে ছাড় করা হবে। যার প্রথম কিস্তি ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার মঙ্গলবার বাংলাদেশ পাবে। 
লেনদেন ভারসাম্য নিয়ে সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ সরকার এক বছরের বেশি সময় ধরে আইএমএফের এই ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। 
সুত্র ঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/পিডি/১৯৪৬ ঘ.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান »