
কূটনৈতিক রিপোর্টার: সবার জন্য টেকসই জ্বালানি-শীর্ষক জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ‘সাসটেইনেবল এনার্জি ফর অল’ ইনিশিয়েটিভের সিনিয়র উপদেষ্টা লুইস গোমেজ গতকাল সচিবালয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান। সাক্ষাৎকালে বান কি মুনের উদ্যোগ সম্পর্কে তার একটি লিখিত বার্তাও হস্তান্তর করা হয়। ওই বার্তায় পৃথিবীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তার এ উদ্যোগ বলে জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। সবার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করা, বিশ্বের জ্বালানি দক্ষতা দ্বিগুণ করা এবং চাহিদার অর্ধেক নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আহরণ করার জন্য তার এ উদ্যোগে রাষ্ট্রসমূহ আশাব্যঞ্জক সাড়া দেবে বলেও আশা করেন বান কি মুন। বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান পরিবেশমন্ত্রী। বিশ্বব্যাপী অপরিকল্পিত জ্বালানি ব্যবহারের কারণে পৃথিবী ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পোন্নত দেশসমূহে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে একদিকে যেমন শক্তির অপচয় হচ্ছে তেমনি উত্তপ্ত করছে সৌরমণ্ডলকে। এতে প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি ত্বরান্বিত হচ্ছে। এর শিকার হচ্ছে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মোট জ্বালানির ৭ থেকে ৮ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আহরণ করছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এর হার আরও ১০-২০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য কাজ চলছে। আগামী দিনের সব উন্নয়নের চালিকাশক্তি হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের এ উদ্যোগে ১১৮টি দেশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব। নতুন প্রজন্মকে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ সহায়ক হবে বলেও আশা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন