বিবিসি | বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১২, ৫ বৈশাখ ১৪১৯
১৯৯০ সালের চেয়ে বর্তমানে ৪০ লাখেরও বেশি শিশু পাঁচ বছরের বেশি বেঁচে যাচ্ছে। সম্প্রতি সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইউনিসেফের একটি নতুন প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের করা এ গবেষণাতে দেখানো হয়েছে যে, শিশুদের অবস্থার উন্নয়নে ত্রাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে কাজ করছে। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সুশাসন শিশুদের আয়ষ্কাল বাড়াতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ, ব্রাজিল এবং ভিয়েতনাম শিশুদের উন্নয়নে ভালো অগ্রগতি দেখিয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল পর্যন্ত গত এক দশকে সাহায্য পাবার ফলে সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নতি ঘটেছে। যার ফলে ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সালের ভেতর অপুষ্টির মাত্রা এক-চতুর্থাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।
১৩১টি দেশে ১৯৬৩ সালের চেয়ে ৯০-তে এসে ডিপথেরিয়া, ধুনষ্টঙ্কার এবং হামের প্রতিষেধক নব্বই শতাংশেরও বেশি ব্যবহূত হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক সাহায্য, সরকারের দৃঢ়তা ও নেতৃত্ব, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সমাজের প্রান্তিকগোষ্ঠীর উন্নয়নে কার্যকর পরিকল্পনা, প্রযুক্তি এবং আবিষ্কার— গত দুই দশকে এ ছয়টি বিষয় শিশুদের জীবনমান বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সেফ দ্য চিলড্রেনের মতে, ত্রাণই একমাত্র সহায়ক হিসাবে কাজ করে এমনটা বলা যাবে না। তবে সুশাসন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি এটা প্রয়োগ করলে ফলাফল ভালো হয়।
সেফ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী জাস্টিন ফরসিথ বলেন, ‘যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা বা শিশুস্বাস্থ্য তহবিলের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে ত্রাণ একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
মন্তব্য করুন